হ’ঠাৎ রাস্তায় অভিনেতা সিদ্দিক কে মা’রধ’র

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভা’ইরাল অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমানের একটি ভিডিও। সেখানে দেখা গেছে এক বিধ্বস্ত সিদ্দিককে। তার ওপর নি’র্যাতনের আলামত স্প’ষ্ট, ছিঁ’ড়ে ফেলা হয়েছিল তার পোশাক। আজ মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রাজধানীর কাকরাইল এলাকায় এই ঘ’টনা ঘ’টে।

ওই ভিডিওতে এক যুবককে বলতে শোনা গেছে, থানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সিদ্দিককে। তবে কোন থা’নায় নেওয়া হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

বিষয়টি জানতে সিদ্দিকুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি। এমনকি তার ঘ’নিষ্টরাও এ বিষয়ে কিছু বলতে পারছেন না। তবে সিদ্দিকের ভিডিওটি আজ মঙ্গলবার সোশ্যাল মিডিয়ায় উ’ত্তেজনা ছড়িয়েছে।

অভিনেতা সিদ্দিকের জন্ম টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলায়। দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে তিনি অভিনয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত। তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। বেশ কয়েক বছর ধরেই তিনি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন। ঢাকা-১৭ ও টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর ও ধনবাড়ি) আসন থেকে একাধিকবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নেওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন এই কৌতুক অভিনেতা।

ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার মাসুদ আলম সমকালকে বলেন, বিকেলে সেগুনবাগিচা এলাকায় দু’র্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সামনে তাকে আটক করে স্থানীয় কিছু লোকজন। পরে তাকে রমনা থা’নায় সোপর্দ করা হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে হা’মলা–হ’ত্যার ঘ’টনায় গুলশান থা’নায় করা দুটি মা’মলায় তিনি আ’সামি বলে জানা গেছে। এ কারণে গুলশান থানা পু’লিশের কাছে তাকে হস্তান্তর করা হবে।

সিদ্দিক মা’রধ’রের শি’কার হয়েছেন কি না সে বিষয়ে সঠিক তথ্য পাননি বলেও জানান উপকমিশনার। তিনি বলেন, লোকজন হয়তো চ’ড়–থা’প্পর দিয়ে থাকতে পারে। সেটা তো দেখে বোঝা যায় না।

সিদ্দিকের ওপর হা’মলাকারীরা ছাত্রদলের নেতাকর্মী বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়। তবে উপকমিশনার বলেন, প্রথমে অল্প কয়েকজন ছিল, পরে আরও অনেকে এসে যোগ দেয় সেখানে। কিন্তু তারা ছাত্রদলের কিনা সেটি জানা যায়নি।