শুদ্ধ নিয়ত ও হালাল উপার্জন না থাকলে শরিকের কারণে নষ্ট হয়ে যেতে পারে পুরো কোরবানি। কোরবানির ঈদে সামর্থ্যবান মুসলমানদের জন্য কোরবানি করা ফরজের কাছাকাছি ওয়াজিব আমল। আল্লাহ তায়ালা বলেন, “তুমি তোমার প্রভুর উদ্দেশ্যে নামাজ আদায় করো এবং কোরবানি করো” (সুরা কাউসার, আয়াত ২)।
আরও বলেন, “আমি প্রত্যেক উম্মতের জন্য কোরবানি নির্ধারণ করেছি, যাতে তারা আল্লাহর দেওয়া পশু জবাইয়ের সময় আল্লাহর নাম স্মরণ করে” (সুরা হজ: ৩৪)। কোরবানির স্বীকৃতি বা কবুলের জন্য নিয়তের বিশুদ্ধতা এবং হালাল উপার্জনের গুরুত্ব অপরিসীম।
কোরবানিতে শরিক করা জায়েজ, কিন্তু আছে কঠিন শর্ত
গরু, উট বা মহিষের মতো বড় পশুতে সর্বোচ্চ ৭ জন পর্যন্ত শরিক হতে পারে (মুসলিম: ১৩১৮)। তবে শরিয়তের দৃষ্টিতে শরিকদের সকলের নিয়ত হতে হবে বিশুদ্ধ, এবং তাদের অর্থ হালাল হতে হবে।
যাদের শরিক করলে কোরবানি বাতিল হয়ে যেতে পারে
১. যাদের নিয়তে থাকে শুধু গোশত পাওয়ার উদ্দেশ্য
যদি কেউ কোরবানিকে আল্লাহর হুকুম পালনের ইবাদত মনে না করে শুধুই গোশতের আশায় করেন, তাহলে তার কোরবানি সহিহ হবে না। এমন ব্যক্তিকে শরিক করলে বাকিদের কোরবানিও বাতিল হবে (বাদায়েউস সানায়ে: ৪/২০৮)।
২. যারা হারাম টাকা দিয়ে কোরবানি করেন
সুদ, ঘুষ বা জালিয়াতির মতো হারাম উপার্জন দিয়ে কোরবানি করলে তা কবুল হয় না। রাসূল (সা.) বলেছেন, “আল্লাহ পবিত্র, তিনি কেবল পবিত্র জিনিসই গ্রহণ করেন” (তিরমিজি: ২৯৮৯)।কোরআনেও বলা হয়েছে, “তোমরা ব্যয় কর হালাল সম্পদ থেকে” (সুরা বাকারা: ২৬৭)।
সতর্ক হোন শরিক নির্বাচনে
শরিক হতে হলে তার নিয়ত, টাকা ও মনোভাব সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে।
এমন কাউকে শরিক করা যাবে না যার কারণে আল্লাহর দরবারে পুরো কোরবানি অগ্রহণযোগ্য হয়ে যায়।
কোরবানি শুধু সামাজিক রীতি নয়, বরং একটি মহান ইবাদত — তাই এতে যেন বিন্দুমাত্র অবহেলা না হয়।