আলুর বাজার দর আজকের | আলুর পাইকারি দাম | Potato price in Bangladesh today
আলুর বাজারে দাম- আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। বন্ধুরা, আজকে আমরা এই পোস্টের মাধ্যমে আপনাদের বিস্তারিত জানাব এবং বাংলাদেশের বর্তমান বাজারে আলুর দাম দেখাব, অর্থাৎ নতুন আলুর দাম 1- 50 টাকা কেজি পর্যন্ত। আপনি যদি বাংলাদেশের বাজারে নতুন আলুর বর্তমান দাম জানতে চান এবং আগ্রহী হন, তাহলে অবশ্যই এই পোস্টের সাথে থাকুন এবং শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।
আজকের আলুর বাজারে দাম আগের চেয়ে বেশি। বর্তমানে প্রতি কেজি আলুর দাম ৬ টাকা থেকে বেড়ে ১০ টাকা হয়েছে। শীত মৌসুমে বাজারে নতুন আলু এসেছে। কিন্তু তারপরও কমেনি আলুর দাম। বাজারে নতুন সাদা ও লাল আলু পাওয়া যাচ্ছে। যেখানে লাল আলু প্রতি কেজি ৬০ টাকা এবং নতুন সাদা আলু প্রতি কেজি ৫০ টাকা। সাদা আলুর চেয়ে লাল আলুর চাহিদা বেশি এবং দামও বেশি। এছাড়া বাজারে পুরনো আলু বিক্রি হচ্ছে। পুরাতন আলু প্রতি কেজি ৩০ টাকা ও ৪০ টাকায় খুচরা বিক্রি হচ্ছে।
আলুর বাজার এখনো কমার সম্ভাবনা নেই। আজকে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আলুর দাম লিস্ট আকারে শেয়ার করলাম। এক কেজি উন্নত মানের আলুর দাম কত? এর সঠিক মূল্য সংগ্রহ করেছি। নীচের বিভাগে আমরা আজকের আলুর বাজার মূল্য সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। তাই আজকের পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
আজকের আলুর বাজার দর
শুরুর দিকে বাজারে নতুন আলু বিক্রি হতো ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। কারণ বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণে তাজা আলু পাওয়া যাচ্ছিল না। কিন্তু এখন এর দাম অনেক কমে গেছে। 1 কেজি নতুন লাল আলু 60 থেকে 80 টাকার মধ্যে কিনতে পাওয়া যায়। ৫ কেজি নতুন আলু ৩০০ টাকা। সাদা আলুর দাম বেড়েছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। বাজারে নতুন আলু এলেও পুরনো আলুর দাম কমছে না। বরং দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ টাকা।
বন্ধুরা আলু আমাদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় প্রতিদিনের সঙ্গীত। তাই আমরা যখনই বাজারে বা বাজারে যাই, আলু আমাদের কেনা উচিত নয়। আপনি একজন অ্যামিস্ট বা নিরামিষাশী হোন না কেন, আপনি আলু পছন্দ করবেন। কারণ যে কোনো রান্নায় আলু অনেক বেশি জড়িত এবং এই আলু যেকোনো রান্নার স্বাদ বাড়িয়ে দিতে পারে কয়েকগুণ। তো বন্ধুরা, আপনি যদি বাংলাদেশের বর্তমান বাজারে 1 কেজি থেকে 50 কেজি পর্যন্ত নতুন আলুর দাম সম্পর্কে জানতে চান, তাহলে অবশ্যই নীচে দেওয়া টেবিলটি খুব মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।
আলুর পরিমাণ = আলুর দাম
- 1 কেজি = 33 টাকা
- 2 কেজি = 66 টাকা
- 5 কেজি = 165 টাকা
- 10 কেজি = 330 টাকা
- 25 কেজি = 825 টাকা
- 50 কেজি = 1650 টাকা
আজকের আলুর বাজার দর ২০২৩
আগের বছর 1 কেজি আলুর দাম ছিল 20 থেকে 25 টাকা । 5 কেজি আলুর পাইকারি দাম 80 টাকায় পাওয়া যেত, কিন্তু এখন সেই আলুর দাম অনেক বেশি। সাধারনত ২০২৩ সালে ১ কেজি আলুর দাম ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। সেখানে ৫ কেজি আলুর দাম ২০০ শতাংশ। তবে আগের দামে কঙ্খ আলু পাওয়া যাবে না বলে আশা করা হচ্ছে। আলুর উৎপাদন খরচ আগের চেয়ে বেড়েছে। যার কারণে আলু বাজারে আনতে দাম বেশি পড়ছে। তাই বাজারে আলুর দাম বেড়েছে।
সরকার বিদেশে আলু রপ্তানির কথা ভাবছে। কয়েকটি দেশে বাংলাদেশি আলুর চাহিদা রয়েছে, তা জানার চেষ্টা চলছে। প্রতি বছর প্রচুর আলু নষ্ট হয়। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন আলু চাষি ও ব্যবসায়ীরা। এমন পরিস্থিতিতে দেশের চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত আলু রপ্তানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অতীতে একাধিকবার এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। তবে এবার সরকার চায় আলু চাষে কৃষকরা যেন নিরুৎসাহিত না হয় এবং ব্যবসায়ীরা যাতে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন না হয়।
১ কেজি নতুন আলুর দাম কত?
১ কেজি নতুন আলুর দাম ৪০ টাকা। আগে ছিল ৬০ টাকা। বর্তমানে প্রতি কেজি 20 টাকা কমেছে। ১ কেজি সাদা আলুর দাম ২০ টাকা। ৫ কেজি নতুন আলুর দাম ২০০ টাকা। পাইকারি মূল্য 285 থেকে 290 টাকা। খুচরা মূল্য 295 টাকা। পুরাতন আলু ৫ কেজি দাম ১৫০ টাকা। বিদেশে মোটা আলুর দাম প্রতি কেজি ২৫ টাকা। ৫ কেজির দাম ১২৫ টাকা। ৫ কেজি আলুর পাইকারি দাম ২২০ টাকা।
এ প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন," আগে বাংলাদেশ থেকে আলু রপ্তানি হতো। বিশেষ করে রাশিয়ায়। একই সঙ্গে শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশি আলুর চাহিদা রয়েছে। কিন্তু রাশিয়া। আলুতে ব্রাউন রোড ডিজিজ নামে এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া ধরা পড়ায় আলু কেনা বন্ধ করে দিয়েছে। রাশিয়ার আপত্তি বাতিল হয়েছে। এখন বাংলাদেশে উৎপাদিত আলু সব ধরনের ব্যাকটেরিয়ামুক্ত। বাংলাদেশ কৃষি বিভাগ এখন ব্যাকটেরিয়ামুক্ত আলু উৎপাদন করছে। ইতিমধ্যে রাশিয়াকে জানানো হয়েছে। এখন রাশিয়া বাংলাদেশ থেকে আলু নেওয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছে জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এই মুহূর্তে সরকার বাংলাদেশ থেকে রাশিয়ায় এক লাখ মেট্রিক টন আলু রপ্তানির কথা ভাবছে। তিনি আরও বলেন, সব দেশের বাংলাদেশি মিশনগুলোকে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হবে যে, শুধু রাশিয়া নয়, কয়েকটি দেশেও বাংলাদেশি আলুর চাহিদা রয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে প্রতিবছর আলুর চাহিদা ৮ মিলিয়ন মেট্রিক টন। গত বছর দেশে ১ কোটি ১৩ লাখ টন আলু উৎপাদিত হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর। বর্তমানে দেশে ৩৮০টি হিমাগারে আলু মজুদ রয়েছে ১৫ থেকে ১৬ লাখ মেট্রিক টন। এরই মধ্যে বাজারে আসতে শুরু করেছে নতুন আলু। এখনো অনেক কৃষকের জমিতে আলু আছে। তারাও উঠবে। এ বছরও দেশে এক কোটি মেট্রিক টন আলু উৎপাদন হবে বলে আশা করছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর। এমন অবস্থায় হিমাগারে রাখা আলু লোকসানের ভয়ে বাইরে আনা যাচ্ছে না। কৃষকরা এখন আর হিমাগারের ধারেকাছেও যায় না। কারণ দাম নেই। হিমাগারে প্রতি কেজি আলু রাখার খরচ ১৪ টাকা হলেও উত্তরবঙ্গে এখন ৬০ কেজির বস্তা আলুর দাম ৩০ টাকা চাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এমন পরিস্থিতিতে হিমাগার মালিকরা তাদের কোল্ড স্টোর খালি করতে এক কেজি দুধে ৬০ কেজি আলু বিক্রি করেছেন। কারণ উত্তরবঙ্গে এক কেজি দুধের দাম ৪০ টাকা। আলু ব্যবসায়ীরা যে দাম চাচ্ছেন তার চেয়ে ১০ টাকা বেশি (৬০ কেজির জন্য ৩০ টাকা) পাওয়ায় মালিকরা তাদের গুদাম খালি করার চেষ্টা করছেন।
এ প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা আলু সরাসরি ব্যবহার ও প্রক্রিয়াজাত করে রপ্তানি বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, এটা করা গেলে কৃষকদের লোকসান কমানো সম্ভব। এক্ষেত্রে রপ্তানিযোগ্য জাত উদ্ভাবন করে কৃষকদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে বলেও মনে করেন তারা।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩- ১৪ অর্থবছরে আলু রপ্তানি করে আয় হয়েছিল ৩ কোটি ৩৮ লাখ ডলার। আর চলতি ২০১৬- ১৭ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে আলু রপ্তানি হয়েছে প্রায় ১৩ দশমিক ৩ মিলিয়ন ডলার। মালয়েশিয়ায় সবচেয়ে বেশি রপ্তানি হয় আলু। এ ছাড়া সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা, মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ব্রুনাই, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হয়।
এদিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সরকার কয়েক বছর ধরে আলু রপ্তানিতে ২০ শতাংশ হারে নগদ সহায়তা দিয়ে আসছে। 2016 সালে, এটি 10 শতাংশে কমিয়ে আনা হয়েছিল। এখন আবার নগদ সহায়তা বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করা হয়েছে।
কৌরানবাজারের আলু ব্যবসায়ী এম এ সাত্তার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, সরকারের পরিকল্পনা ও দক্ষতার অভাবে প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ আলু নষ্ট হচ্ছে। যদিও দেশে আলু উৎপাদন উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। গত কয়েক বছরে লাখ লাখ টন আলু উদ্বৃত্ত। বাড়তি এই আলু রপ্তানির উদ্যোগ নেওয়া হলে কৃষক ও ব্যবসায়ীরা লাভবান হবেন।
আলুর দাম কত কমতে পারে?
নাভান্নার খবরে বলা হয়, চাপে ব্যবসায়ীরা আলুর দাম কেজিতে দুই টাকা কমাতে পারেন। অনেকের মতে, এক ধাক্কায় দাম বাড়ার পর দাম কমিয়ে মুখ রক্ষার চেষ্টা করছে সরকার।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, আলুর দাম বাড়ার জন্য সরকারের নীতিই দায়ী। পশ্চিমবঙ্গ আলু ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বরেন মণ্ডলের মতে, দাম নির্ধারণের কারণে এবং অন্যান্য রাজ্যে সম্পূর্ণ পরিমাণে রপ্তানি করার অনুমতি না দেওয়ার কারণে অনেকেই হিমাগার থেকে আলু নিচ্ছেন না। ফলে বাজারে সরবরাহ কমে গেছে। সে কারণে দাম বেড়েছে। সংগঠনের দাবি, দাম নির্ধারণের আগে জ্যোতি আলু ১৭ থেকে ১৮ টাকায় পাওয়া যেত।
কিন্তু ব্যবসায়ীদের এ বক্তব্য মানতে রাজি নন প্রশাসনের কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, আলুর দাম নাগালের বাইরে চলে যাওয়ায় সরকার হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হয়েছে। অন্যান্য রাজ্যে আলুর দাম বেড়ে যাওয়ায় বাংলার ব্যবসায়ীরা বেশি লাভের আশায় আলু বিদেশে পাঠান। কৃষি বিপণন বিভাগের কয়েকজন কর্মকর্তাও আলুর দামে কারচুপি হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন।
সরকারি ব্যবস্থায় সস্তার আলু এখন অনেক পাইকারি বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না। গত দুই দিন কোলের বাজারে ১২ টাকা দরেও সস্তা আলু পাননি ব্যবসায়ীরা। সোমবার ও মঙ্গলবার তারা জ্যোতি আলু কিনেছেন 16- 17 টাকা কেজি দরে। এদিন অনেক খুচরা বাজারে চন্দ্রমুখী আলুর দাম বেড়েছে দুই টাকা। পাইকারি বাজারের একাংশ বলছেন, সরকার আলু বাজেয়াপ্ত করছে। কিন্তু ফ্রিজার থেকে আলু বের করার চেষ্টা করছেন না। সেটা করা গেলে বাজারদর নিয়ন্ত্রণে রাখা যেত।
ভারত আলুর দাম কত
কলকাতায় সবজির দামও রেকর্ড কম। কিন্তু শীত আসতেই পাল্টে যায় বাজারের অবস্থা। সবজির দাম দ্রুত বাড়ছে। বেশ কিছু সবজির দাম বেড়েছে। ওই তালিকায় মৌসুমি সবজির দাম বেড়ে যাওয়ায় অন্যান্য সবজির দামও বেড়েছে।
ফুলকপি, বাঁধাকপি, বাঁধাকপির মতো সবজি আসলে শীতকালীন ফসল। ফলে সারা মাসই কম দামে পাওয়া যাচ্ছে এসব সবজি। কিন্তু এখন সেই পথ আর নেই। ফলে বাজারে দাম বেশি। তবে শুধু শীতকালীন সবজির দামই বাড়েনি, বারো মাসের অন্যান্য সবজির দামও বাড়ছে।
যেমন, ধ্যানদাশ, উচ্ছ, পটলের মতো সবজি চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে এসব সবজির দাম বেড়েছে। বাজারে প্রতি কেজি জাফরান ৬০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া প্রতি কেজি পটল রয়েছে ৮০ টাকা। প্রতি কেজি চামড়া রয়েছে ৫০ টাকা।
বর্তমানে সবজির বাজারে আলু, পেঁয়াজ, পেঁপের মতো সবজির দাম সবচেয়ে কম। কিন্তু ধীরে ধীরে বাড়ছে আলুর দাম। কলকাতায় জ্যোতি আলুর দাম 10 টাকা থেকে বেড়ে 14- 15 টাকা হয়েছে। হিমাঙ্গি আলুর দাম প্রতি কেজি ১৮- ২০ টাকা। অন্যদিকে চন্দ্রমুখী আলুর দাম প্রতি কেজি ২৪ টাকা। এছাড়া প্রতি কেজি বেগুন ৪০ টাকা, কুমড়া বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজি।
এছাড়া শুধু যে সবজির দাম বেড়েছে তা নয়। বাজারে মাছের দামও চড়া। রুই মাছের দাম তুলনামূলকভাবে সস্তা। রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২০০ টাকা দরে। কাতলা মাছের দাম প্রতি কেজি ৪০০ টাকা। চিংড়ি মাছের দাম প্রতি কেজি ৩৫০ টাকা। ভেটকির দাম প্রতি কেজি ৬০০ টাকা। এক কেজি পাবদা মাছের দাম সর্বনিম্ন 350 টাকা । মাঝারি আকারের ট্যাংরার দাম 300 টাকা।
কম দামি মাছের দিকে তাকালে রোয়ের পাশাপাশি লোটে মাছও রয়েছে তালিকায়। এছাড়া লাইলনটিকাটিলাপিয়া মাছের দাম প্রতি কেজি ১৫০ টাকা। মৌরলা মাছ প্রতি কেজি ৮০ টাকায় কেনা যায়। তুলার জিন প্রতি কেজি ১৮০ টাকা।
অন্যদিকে মাংসের দামেও অস্বস্তি রয়ে গেছে। মুরগির দাম কেজিপ্রতি ২৩০- ২৪০ টাকা হয়েছে। কিন্তু এই দাম প্রতি কেজি আড়াইশ টাকা কম। আস্ত মুরগির দাম প্রতি কেজি ১৪০- ১৫৫ টাকা। তবে মাটনের দামে কোনো পরিবর্তন হয়নি। শহরে এক কেজি মাটনের দাম ৭৩০ থেকে ৭৮০ টাকা।
আজকের আলুর বাজার দর ২০২৩
আলুর বাজারদর প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হচ্ছে। আজকের তারিখ 3 ফেব্রুয়ারি 2023। সাদা আলুর আজকের বাজার মূল্য প্রতি কেজি 24 টাকা অর্থাৎ 960 টাকা। আর আজকের লাল আলুর দাম প্রতি কেজি ২১ টাকা (৮৪০ টাকা)। জানুয়ারির শেষে সাদা আলুর দাম ছিল প্রতি কেজি ২৫ টাকা, যা ৩ ফেব্রুয়ারি এক টাকা কমে ২৪ টাকায় নেমে আসে। আমাদের তালিকাভুক্ত দাম পাইকারি মূল্য. যেহেতু, খুচরা বাজারে, সবাই যার যার দামে বিক্রি করে, তাই আমরা খুচরা মূল্য তালিকাভুক্ত করিনি।
আলুর পাইকারি বাজার
প্রায় সব জেলা ও উপজেলা শহরেই আলুসহ অনন্য সবজির পাইকারি বাজার রয়েছে। তবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় আলুর পাইকারি বাজার ঢাকার কাওরান বাজারে অবস্থিত।
আলু, বেগুন, ফুলকপি, বাঁধাকপি, গোলমরিচ, পেঁপে, মিষ্টি কুমড়া, লাউসহ অনন্য সবজি সারা বাংলাদেশ থেকে পাইকারি বিক্রির জন্য কাওরান বাজারে যায়।
আলুর ফলন বৃদ্ধির উপায়
সমস্ত আলু চাষীরা তাদের আলুর ফলন বাড়াতে চায় বা আলুর ফলন বাড়ানোর উপায় জানতে চায়। আলুর ফলন বাড়ানোর কিছু উপায় আছে যা অনেকেই জানেন আবার অনেকেই জানেন না। আসুন জেনে নেই আলুর ফলন বাড়ানোর উপায় সম্পর্কে।
আলুর ফলন বাড়ানোর জন্য আপনাকে স্প্রে এর মাধ্যমে কিছু ওষুধ ব্যবহার করতে হবে যা আমি নীচে তালিকাভুক্ত করেছি। আমাদের তালিকা অনুসরণ করুন.
- ম্যানকোজের 80 হল wp
- ট্রাইকন্টানল
- জিবেরেলিক অ্যাসিড
আপনাকে উপরের সমস্ত উপাদানগুলিকে সঠিকভাবে মিশ্রিত করতে হবে এবং স্প্রের মাধ্যমে আপনার আলু গাছগুলিতে প্রয়োগ করতে হবে। উপরের ভিডিওতে দেখানো হয়েছে কতটা ব্যবহার করতে হবে বা কতটা ব্যবহার করতে হবে।
আজকের আলুর বাজার দর কত
বাজারে বিভিন্ন ধরনের আলু পাওয়া যায়। তার ওপর নির্ভর করে বিভিন্ন আলুর দাম নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স। নতুন লাল এবং সাদা এবং পুরানো আলু এবং বিদেশী হিভিট আলু এখন পাওয়া যাচ্ছে। তবে নতুন আলু কিছুটা কম দামে বিক্রি হচ্ছে। পুরোনো আলু প্রায় তাক। তাই পুরনো আলু এখনও একই দামে বিক্রি হচ্ছে। নীচের তালিকা থেকে আজ আলুর বাজার মূল্য পরীক্ষা করুন।
- ১ কেজি নতুন আলু ৪০ টাকা (লাল)
- 5 কেজি নতুন আলু 200 টাকা (লাল)
- 10 কেজি নতুন আলু 400 টাকা (লাল)
- 40 কেজি বা 1 টন নতুন আলু 1600 টাকা (লাল)
- 100 কেজি নতুন আলু 16000 টাকা (লাল)
- ১ কেজি নতুন আলু ২০ টাকা (সাদা)
- 5 কেজি নতুন আলু 100 টাকা (সাদা)
- 10 কেজি নতুন আলু 200 টাকা (সাদা)
- 40 কেজি নতুন আলু 800 টাকা (সাদা)
- 100 কেজি নতুন আলু 2000 টাকা (সাদা)
এক বস্তা আলুর দাম কত
এক বস্তা আলুর দাম তিন হাজার টাকা। তবে পুরনো আলুর দাম অনেক কম। ১ বস্তা পুরাতন আলুর দাম ১৫০০ টাকা। খুচরা বাজারে আসছে আলুর দাম। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, পাইকারি বাজার থেকে খুচরা বাজারে আনতে পরিবহন খরচ বেশি। যার কারণে আলুর খুচরা দাম অনেক বেড়ে গেছে।
ভারতে আলুর দাম
বাংলাদেশের চেয়ে ভারতে আলুর দাম বেশি। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৭ টাকায়। তার মানে আমাদের দেশের তুলনায় ভারতে আলুর দাম বেশি। এক বছরে ভারতে আলুর দাম বেড়েছে ৯২ শতাংশ। প্রতি কুইন্টাল (1000 কেজি) বিক্রি হয়েছে 3 হাজার 633 টাকায়। এক বছর আগে এর দাম ছিল ১ হাজার ৭৩৯ টাকা। এই সময়ে ভারতে পেঁয়াজের দাম প্রায় ৪৭ শতাংশ বেড়েছে।
আলু উৎপাদনে শীর্ষ জেলা কোনটি
আমাদের অনেকেরই প্রশ্ন আলু উৎপাদনে কোন জেলা এগিয়ে আছে। এবার আমরা জানবো শীর্ষ আলু উৎপাদনকারী জেলা সম্পর্কে। আলু উৎপাদনে বাংলাদেশের শীর্ষ জেলা বগুড়া। বগুড়া জেলায় বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি আলু চাষ হয়।
গোল আলুর বৈজ্ঞানিক নাম
যারা গোল আলুর বৈজ্ঞানিক নাম জানেন না তাদের জন্য। গোল আলুর বৈজ্ঞানিক নাম Solanum tuberosum এবং এর ইংরেজি বানান Solanum Tuberosum।
আলু উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান
আলু উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে ৬ষ ্ঠ বা ৬ নম্বরে (সূত্র প্রথম)। বাংলাদেশে প্রতি বছর গড়ে১.০২ কোটি টন আলু উৎপাদিত হয়, যা ভারতের পর সর্বোচ্চ উৎপাদন।
আলু খেলে কি মোটা হয়
আপনি যদি জাঙ্ক ফুডের মাধ্যমে আলু না খান এবং শুধুমাত্র স্বাস্থ্যকর উপায়ে আলু খান তবে আলু আপনাকে মোটা করবে না। বরং বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে সাদা ও মিষ্টি আলু খেলে ওজন কমে।
আলু খেলে কি গ্যাস হয়
শুধু আলু নয়, অস্বাস্থ্যকর উপায়ে খাওয়া যেকোনো কিছুর কারণে গ্যাস হয়। সুতরাং, আপনি যখন আলু সহ কিছু খান তখন পরিমিত তেল দিয়ে স্বাস্থ্যকর উপায়ে খাওয়ার চেষ্টা করুন এবং সময়মতো খান এবং স্নান করুন তবে আলু খাওয়ার পরে আপনি গ্যাস পাবেন না।
বাংলাদেশে আলুর দাম কে নির্ধারণ করে?
বাংলাদেশে আলুর দাম টিসিবি বাজার মূল্য দ্বারা নির্ধারিত হয়।
আলু কোন সময়ের ফসল?
আলু একটি শীতকালীন ফসল।
আলু নিরামিষ না আমিষ?
আলু একটি নিরামিষ সবজি।
নতুন আলুর দাম কত বাংলাদেশে?
বাংলাদেশে নতুন আলুর দাম প্রতি কেজি ৩৩ টাকা।
৫০ কেজি আলুর দাম কত বাংলাদেশে?
বাংলাদেশে ৫০ কেজি আলুর দাম ১৬৫০ টাকা।
আলু এক ধরনের সবজি এবং কাঁচা পণ্য। তাই এর দাম যেকোনো সময় কম বা বেশি হতে পারে। তাই আমার দেওয়া দাম নাও মিলতে পারে। আজকের আলুর বাজার দর সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিয়েছি এই পোস্টে।