আজকের চালের দাম কত | বিভিন্ন প্রকার চালের দাম | price of rice in bangladesh

আবারও বেড়েছে চালের দাম। বাজারে নতুন চাল আসা সত্ত্বেও চালের বাজার বাড়ছে। গত মাসেও এক বস্তা চাল পাওয়া যেত ২৭০০ থেকে ২৭৫০ টাকা। নতুন মাসের শুরু থেকে প্রতি বস্তা চাল ১৫০ টাকা থেকে বেড়ে ২৫০ টাকায় পৌঁছেছে। এখন ৫০ কেজির ২৯ বস্তা চাল পাওয়া যাচ্ছে ২৮০০ থেকে ২৭০০ টাকায়। 2900. ভালো মানের বাসমতি চাল এখন বাজারে পাওয়া যাচ্ছে, কিন্তু দাম অনেক বেশি।

যার দাম কেজিপ্রতি দেড়শ থেকে দুইশ টাকা বেড়েছে। আবারও বেড়েছে ২৫ কেজি ব্যাগের দাম। বাজারে নতুন চাল আসার পরও কেন ধানের দাম কমছে না তা নিচের প্রতিবেদনে তুলে ধরেছি। বিভিন্ন ধরনের চালের আজকের দামের আপডেট খবর এবং বাজারদর জানতে আমাদের সাথেই থাকুন।

আজকের চালের দাম কত


বাংলাদেশে শুরু হয়েছে আজ। আগের বছর 2018, 19, 20 সালে চালের দাম ছিল নাগালের মধ্যে। 50 কেজি ভালো মানের চাল পাওয়া যেত 1600 থেকে 1900 বা 2000 টাকার মধ্যে। বর্তমান বাজারে যা 2400 টাকার মধ্যেও পাওয়া যায় না। চালের বাজারে প্রতি বস্তা চালের দাম সর্বনিম্ন ২৬০০ টাকা। চালের মান খুবই খারাপ। তবে বাজারে ভালো মানের চাল পাওয়া যাচ্ছে। আজ চালের দাম ২৮০০ থেকে ২৯০০ টাকা। এই ধানের গুণাগুণ অনেক ভালো। সে অনুযায়ী প্রতি কেজি চালের দাম ৫৬ থেকে ৫৮ টাকা।

আজকের চালের দাম কত | বিভিন্ন প্রকার চালের দাম | price of rice in bangladesh

চালের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণ


চালের দাম বাড়ছে। কোনোভাবেই চালের বাজার কমছে না। এরই মধ্যে বাজারে এসেছে নতুন চাল। নতুন চাল আসার পরও চালের বাজার ধীর গতিতে বাড়ছে। চালের বাজার বৃদ্ধির প্রধান কারণ চালের দাম বৃদ্ধি। ধানের উৎপাদন খরচ বেড়েছে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি। ফসল লাগানো থেকে শুরু করে ধান কাটা পর্যন্ত বাড়তি খরচ হচ্ছে। ধান উৎপাদনের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন ও কীটনাশক প্রয়োজন।

যা বাজারে তাদের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। ধান চাষের জন্য পর্যাপ্ত জমি নেই। সব মিলিয়ে প্রতি মণ বা ৪০ কেজি ধানের দাম বেড়েছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা। ফলে আজ চালের দাম অনেক বেড়ে যাচ্ছে। চালের বাজার মূল্য জানতে নিচের ঠিকানায় ক্লিক করুন। নিচের প্রতিবেদনে চালের বাজার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

বাসমতি চালের দাম কত


সাধারণ চাল ভাত রান্নার জন্য ব্যবহার করা হয়। তবে সবার প্রিয় কাচ্চি বিরিয়ানি, পোলাও, খিচুড়ি রান্না করতে প্রয়োজন বিশেষ ধরনের বাসমতি চাল। এই চালের একটা আলাদা সুগন্ধ আছে। বাজারে এই চাল পাওয়া যাচ্ছে। বাসমতি চালের বিভিন্ন জাত বা কোম্পানি রয়েছে। তবে এ চালের দাম সাধারণ চালের চেয়ে অনেক বেশি। 1 কেজি বাসমতি চালের দাম 250 টাকা থেকে 300 টাকা পর্যন্ত। সাধারণত দেশি বাসমতি চালের দাম 150 টাকা থেকে 200 টাকা পর্যন্ত। 5 কেজি দেশি চালের দাম 1450 টাকা। এদিকে মোজ্জামেলের ৫ কেজি বাসমতি চালের দাম ৫৫০ টাকা। ফরচুন বাসমতি চালের দাম ১ কেজির দাম ১৩৫ টাকা এবং ৫ কেজির দাম ৬৫০ টাকা।

২৫ কেজি চালেরবস্তার দাম ২০২৩


বাজারে ৫০ কেজি ও ২৫ কেজির বস্তা চাল পাওয়া যাচ্ছে। ভালো মানের নাজিরশাইল চাল বিক্রি হচ্ছে ৭৩ থেকে ৮২ টাকায়। যা দুদিন আগে বিক্রি হয়েছিল ৭৫ থেকে ৮৫ টাকায়। 25 কেজি ব্যাগের দাম 1825 থেকে 2050 টাকা। নাজিরশাইলের ১ বস্তা সরু চাল বিক্রি হচ্ছে ৩৫০০ থেকে ৩৬০০ টাকায়। নিচে থেকে দেখে নিন প্রায় ২৫ কেজি চালের বস্তার দাম।

  1. পালকি প্রিমিয়াম 25 কেজি চালের বস্তার দাম 2150 টাকা।
  2. এরফান মিনিকেট 25 কেজি চালের বস্তার দাম 1650 টাকা।
  3. জহুরা মিল মিনিকেট চাল ২৫ কেজি ১৬৪০ টাকা।
  4. পালকি নাজিরশাইলের ২৫ কেজি চালের বস্তার দাম ১৯৪০ টাকা।

মিনিকেট চালের দাম


সবার প্রিয় ভাতের মিনিকেট। চাল দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি এই ধানের চালও অনেক সুন্দর ও চিকন। যা দেখতে বিরিয়ানি বা পোলাও ভাতের মতো। ১ কেজি মিনিকেট চালের দাম ৬১ থেকে ৭১ টাকা। সরু মিনিকেট চাল ৭০ টাকা থেকে ৭২ টাকা কেজি। চলতি মাসে এক কেজি চালের দাম বেড়েছে ১০ টাকা। ২৫ কেজি মিনিকেট চালের দাম ১৫২৫ থেকে ১৭৭৫ টাকা। আর ৫ কেজি চালের দাম ৩০৫ থেকে ৩৫৫ টাকা। এই চালের দাম আবারও বাড়তে পারে।

মোটা চালের দাম


মোটা চাল দুই প্রকার, গুটি ও স্বর্ণ। যার দাম প্রতি কেজি ৫৫ থেকে ৫৬ টাকা । নাজিরশাইল মোটা চালের দাম কেজি প্রতি ৮৪ থেকে ৮৬ টাকা। মাঝারি BR- 28 চাল প্রতি কেজি 60 থেকে 62 টাকা। গতকাল ঢাকার মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে মোটা চাল( গুটি- স্বর্ণ) বিক্রি হয়েছে ৪৮ টাকা থেকে ৫০ টাকা দরে। রাজধানীর মহাখালী কাঁচাবাজারে প্রতি কেজি মোটা চাল (গুট্টি ও স্বর্ণা) বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৫৬ টাকায়।

৫০ কেজি চালের বস্তার দাম ২০২৩


পাজাম ৫০ কেজি চাল ২১০০ থেকে ২১৫০ টাকা । ব্রি- ২৮ চাল ৫০ কেজি ব্যাগ 2550- 2600 টাকা । তবে এ চাল বিক্রি হচ্ছে ২৬৫০ থেকে ২৭০০ টাকায় । কয়েকদিন আগে কাটারি আতপ ৫০ কেজি চাল বিক্রি হয়েছিল ৩ হাজার ৫০০ টাকায় । এখন বিক্রি হচ্ছে চার হাজার টাকায় । যা প্রতি ৫০ কেজি ব্যাগে ৫শ টাকা বেড়েছে । নাজিরশাইলের ৫০ কেজি চালের দাম ৩১০০- ৩১৫০ টাকা । বাজারে এই চাল বিক্রি হয় ৩৩০০ থেকে ৩৩৫০ টাকার মধ্যে ।

২৯ চালের দাম আবারো বেড়েছে


প্রতি কেজি ৩ থেকে ৪ টাকা বেড়ে ২৯ চাল । এখন বাজারে প্রতি কেজি ব্রি- ২৯ চালের দাম ৬০ টাকা । ২৯ জাতের চাল বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকা কেজি দরে । এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬২ টাকায় । ৫০ কেজি ২৯ চালের দাম ৩ হাজার টাকা এবং ২৫ কেজির বস্তা ১৬০০ টাকা । পরে আবার ২৯ চালের দাম বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে । এখন বাজারে ২৯টি নতুন চাল পাওয়া যাচ্ছে ।

আজকের চালের দাম কত


বাজারে মোটা ও সরু চালের দাম এখন বাড়ছে । গুণগত মান ও প্রকারভেদে পণ্যটির দাম এক সপ্তাহের মধ্যে প্রতি ব্যাগ( ৫০ কেজি) ১০০- ১৫০ টাকা বেড়েছে । এছাড়া সুগন্ধি চালের দাম কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে ।

এ প্রসঙ্গে খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, গুটিকয়েক রাইস মিল মালিক ও মজুতদারদের যথেচ্ছ মূল্য নির্ধারণের কারণে দেশে সব ধরনের চালের দাম বাড়ছে । এর জন্য উত্তরবঙ্গের রাইস মিল মালিক ও চাল কর্পোরেট কোম্পানিগুলোকে দায়ী করছেন তারা ।

অন্যদিকে মিল মালিকরা বলছেন, সরকার আমন মৌসুমের চাল সংগ্রহ শুরু করায় এখন ধানের দাম কিছুটা বেশি । এ কারণে চালের দামও বেড়েছে ।

চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, এক সপ্তাহ আগে এখানে জিরাশাইল সিদ্ধ চাল বিক্রি হয়েছিল ২ হাজার ১০০ টাকায় । বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৩০০ টাকা । এছাড়া মিনিকেট( সিদ্ধ) প্রতি বস্তা ২৫০ টাকা বেড়ে ১ হাজার ৭৫০ টাকা, স্বর্ণা( সিদ্ধ) ১৩০ টাকা বেড়ে ১ হাজার ৪৮০ টাকা, মোটা( সিদ্ধ) ২৫০ টাকা বেড়ে ১ হাজার ২৫০ টাকা, গুটি( সিদ্ধ) ১শ টাকা বেড়েছে । ১ হাজার ৩৫০, বাসমতি( সিদ্ধ) ২০০ টাকা বেড়ে প্রতি বস্তা বিক্রি হয়েছে ২ হাজার ৩০০ টাকা ।

চালের এই অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির পেছনে কারসাজি রয়েছে বলে মনে করছেন পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ীরা । মোটা চালের দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি সুগন্ধি ও মিহি চালের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য উত্তরবঙ্গের রাইস মিল মালিক ও কর্পোরেট চাল কোম্পানিগুলোকে দায়ী করছেন তারা ।

চাক্তাই চালপট্টির ব্যবসায়ীরা বলছেন, সুগন্ধি চালের দাম বাড়ায় বাজারে চালের দাম বাড়তে শুরু করেছে । সব রাইস মিল কোম্পানি গুঁড়া চিনিসহ বিভিন্ন সুগন্ধি চালের দাম বাড়ানোর পর একপর্যায়ে অন্যান্য চালের দামও বেড়েছে । এর ফলে পাইকারি পর্যায়ে সংগ্রহ ও মজুদও বেড়ে যায় । দেশের প্রধান কেন্দ্রগুলি থেকে সরবরাহ হ্রাস ।

দেশের অন্যান্য স্থানেও পণ্যের দাম বাড়ার পেছনে মিল থেকে সরবরাহ কমে যাওয়াকে দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা । নওগাঁ পৌর ক্ষুদ্র চাল ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতি মকবুল হোসেন জানান, মিলগেটে প্রতি বস্তা চালের দাম বেড়েছে প্রায় একশ ’ থেকে দেড়শ টাকা । চালকল মালিকরা এখন আগের চেয়ে কম সরবরাহ করছেন । ফলে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে । আমরা খুচরা পর্যায়ে বেশি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি ।

অন্যদিকে মিল মালিক ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, কয়েকদিন আগেও সরকারের চলমান ধান- চাল সংগ্রহ অভিযান কিছুটা ধীরগতিতে ছিল । তবে সম্প্রতি এই প্রচারণা কিছুটা গতি পেয়েছে । এতে কৃষক পর্যায়ে ধানের দাম বেড়েছে । দেশের বিভিন্ন স্থানে ধানের দাম বেড়েছে সর্বোচ্চ একশ টাকা । এর প্রভাবে দেশের প্রধান বাজার ও কলকারখানায় সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে । এখন এর প্রভাব দেশের খুচরা ও পাইকারি বাজারে দেখা যাচ্ছে ।

চাক্তাই রাইস মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ওমর আজম বণিক বার্তাকে বলেন, উত্তরবঙ্গ থেকে সারা দেশে চাল সরবরাহ করা হয় । সরকার ধান- চাল সংগ্রহ শুরু করায় ধানের দাম ৮০ টাকা থেকে বেড়ে ১০০ টাকা মণ হয়েছে, যার প্রভাব পড়েছে পাইকারি পর্যায়ে চালের বাজারে । সরকারি পর্যায়ে ধান- চাল সংগ্রহের কাজ শেষ হলে বাজার সহনীয় পর্যায়ে নামতে পারে বলে মনে করেন তিনি ।

খুচরা পর্যায়ে পণ্যের দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে বলে মনে করেন মিল ও মোকাম মালিকরা । এ বিষয়ে নওগাঁ চালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন চাকদার বলেন, সরকার কৃষক পর্যায়ে চাল সংগ্রহ করায় মিলাররা চাহিদা মতো চাল পাচ্ছেন না । ফলে চাহিদা মিটিয়ে বেশি দামে ধান সংগ্রহ করতে হচ্ছে । সারাদেশে হঠাৎ করেই চালের চাহিদা কিছুটা বেড়েছে । বেশি দামে ধান কিনে বিক্রির দাম কিছুটা বাড়ানো হয়েছে । কিন্তু খুচরা পর্যায়ে ব্যবসায়ীরা বেশি দামে বিক্রি করছেন । ফলে ভোক্তা পর্যায়ে দাম বাড়ছে ।

খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি আমন মৌসুমে সরকার ৬ লাখ টন ধান ও ৪ লাখ টন চাল কিনবে । এর মধ্যে সিদ্ধ চাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা তিন লাখ টন । আতপ চাল ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৫০ হাজার টন । এ ক্ষেত্রে প্রতি কেজি ধানের সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২৬ টাকা । এছাড়া সিদ্ধ চাল ৩৬ টাকা ও আতপ চাল ৩৫ টাকা কেজি দরে কেনা হচ্ছে । ডিসেম্বরে শুরু হওয়া এই ধান সংগ্রহ অভিযান চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত । অন্যদিকে নভেম্বরের শেষে শুরু হওয়া ধান সংগ্রহ অভিযানও শেষ হচ্ছে একই দিনে( ২৮ ফেব্রুয়ারি) ।

এদিকে দেশের বৃহত্তম ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে সব ধরনের সুগন্ধি চালের দাম । এক সপ্তাহ আগেও প্রতি বস্তা( ৫০ কেজি) পুরাতন চিনির গুঁড়া চাল পাইকারি বিক্রি হয়েছে সাড়ে চার হাজার টাকায় । এক সপ্তাহের ব্যবধানে তা বেড়ে হয়েছে পাঁচ হাজার ৫শ ’ টাকা । মাত্র এক সপ্তাহে পণ্যটির দাম বেড়েছে প্রতি বস্তায় এক হাজার টাকা । অর্থাৎ পণ্যটির পাইকারি দাম কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে । অন্যদিকে ব্র্যান্ডের নতুন গুঁড়ো চালের দাম ৬০০ টাকা বেড়ে ৪ হাজার ৬৫০ টাকা হয়েছে ।

এর কারণ হলো, শীত মৌসুমে দেশে বিভিন্ন উৎসবের কারণে সুগন্ধি চালের চাহিদা বেড়ে যায় । এক সময় উত্তরবঙ্গের ছোট রাইস মিল ও অটো রাইস মিলগুলো সুগন্ধিসহ বিভিন্ন ধরনের চালের বাজার নিয়ন্ত্রণ করত । বর্তমানে দেশের কর্পোরেট কোম্পানিগুলোও চাল বিপণনে এগিয়ে এসেছে । এতে চালের বাজারও কিছুটা ব্যক্তিকেন্দ্রিক হয়ে উঠেছে।

খুচরা বাজারে কমেনি চালের দাম


নিত্য প্রয়োজনীয় চালের দাম কেজিতে ৬ টাকা কমানোর ঘোষণায় কিছুটা স্বস্তি পেয়েছে সাধারণ মানুষ। কিন্তু আমদানি শুল্ক ১৮ শতাংশ কমানো হলেও চালের দাম ঘোষণা অনুযায়ী কমেনি। খুচরা বাজারে চাল কিনতে আসা সাধারণ মানুষ চরম হতাশ।

শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, বাদামতলী, যাত্রাবাড়ী ও জুরাইনের পাইকারি ও খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চালের দাম কমেছে, পাইকারি দোকানে চালের দাম বস্তাপ্রতি ১০০ থেকে দেড়শ টাকা কমেছে।

কিন্তু খুচরা বাজারে ও বিক্রেতারা বিক্রি করছেন প্রতি কেজি দুই টাকায়। আবার অনেক দোকানি আগের দামেই চাল বিক্রির চেষ্টা করছেন।

কারওয়ান বাজারের এক ক্রেতা জানান, আগে তিনি৪৮/৪৯ টাকা কেজি দরে মোটা সোনালী চাল কিনেছিলেন। আজও প্রতি কেজি ৪৬ টাকা দরে কিনলেও ৬ টাকা কমেনি। যখন শুনলাম ছয় টাকা কমবে, তখনও গরিবদের ফল পাইনি।

কারওয়ান বাজারের খুচরা চাল বিক্রেতা বলেন, আমরা আগের তুলনায় প্রতি বস্তা ১৫০ থেকে ২০০ টাকা কম পাচ্ছি, তবে মালামাল আনা- নেওয়ার খরচ যোগ করতে হচ্ছে, তাই আগের চেয়ে দুই থেকে তিন টাকা কম বিক্রি করছি । যদি আমরা ছয় টাকা কম দামে বিক্রি করি তাহলে আমাদের আর বাণিজ্য করার দরকার নেই ।

এদিকে মিলগেট ও পাইকারি বাজারে কমতে শুরু করেছে মোটা চালের দাম । তবে খুচরা বাজারে এখনো পুরোপুরি প্রভাব পড়েনি । তবে দু- একদিনের মধ্যে খুচরা বাজারে দাম কমতে শুরু করবে বলে মনে করছেন চালের বাজার সংশ্লিষ্টরা ।

পাইকারি বিক্রেতারা জানান, তারা শুধু মিল থেকে কম দামে চাল কিনেছেন । আগের চাল বিক্রি হয়ে গেলে পুরোপুরি বাজারে যাবে । তখন খুচরা বাজারে চালের দাম কমবে । তবে পাইকারি দোকানে দাম কমতে দেখা গেছে ।

পাইকারি বাজারে ছোট সোনা বিক্রি হচ্ছে প্রতি বস্তা দুই হাজার টাকা, আঠাশ চালের বস্তা আড়াই হাজার টাকা, জিরা মিনিকেট দুই হাজার ছয়শ টাকায় ।

রাজধানীর বাবুবাজার, বাদামতলী, যাত্রাবাড়ী, জুরাইন, কারওয়ান বাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পাইকারি পর্যায়ে সবচেয়ে বেশি কমেছে মোটা চালের দাম । দুদিন আগে যে চাল ৪৫- ৪৬ টাকায় বিক্রি হতো, এখন তা বিক্রি শুরু হয়েছে ৪২- ৪৩ টাকায় । অর্থাৎ প্রতি কেজি দাম নেমে এসেছে প্রায় তিন টাকায় । কিন্তু ছোট চালের দাম কমছে। পাইকারি বাজারে বিভিন্ন ধরনের ছোট চালের দাম কেজিতে এক- দুই টাকা কমেছে বলে জানা গেছে।

বাবুবাজারের স্বর্ণালী রিচ এজেন্সির পাইকারি বিক্রেতা বলেন, আমরা আজ থেকে সূক্ষ্ম স্বর্ণা অর্থাৎ মোটা চাল ৪২- ৪৩ টাকায় বিক্রি শুরু করেছি, যা আগে বিক্রি করতাম ৪৫- ৪৬ টাকায় । অন্যান্য ছোট চালের ক্ষেত্রে এই হার । দাম কিছুটা ধীরগতিতে কমছে ৫০ পয়সা, এক টাকায় কমছে । তিনি বলেন, আমদানি করা ভারতীয় চালের প্রভাবে দাম কমছে।

বাদামতলীর এক চাল বিক্রেতা জানান, তার দোকানে সব ধরনের চালের দাম দুই টাকা কমেছে । তিনি বলেন, আমরা যে দামে মিল থেকে চাল কিনি সে অনুযায়ী দাম কমাই । এখনও ভারতীয় চাল আনিনি । তবে দু- একদিনের মধ্যে চালের দাম কমবে।

জুরাইন বাজারের পাইকারি বিক্রেতারা আরও জানান, প্রতি ৫০ কেজির বস্তা চালের দাম একশ থেকে দেড়শ টাকা কমেছে । তারা জানান, চার দিন ধরে দাম কমছে।

জুরাইন চাল বাজার সমিতির সভাপতি ও বিসমিল্লাহ রিচ এজেন্সির স্বত্বাধিকারী মো. ইউসুফ নতুন সময়কে বলেন, আমরা প্রতি বস্তা ২০০ টাকা ছাড়ে বিক্রি করছি । কিন্তু খুচরা দোকানে বেশি দাম নিচ্ছে । সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী ৬ টাকা ছাড়ে বিক্রি করা যায় কিনা তা আগামী দুই- তিন দিনের মধ্যে বোঝা যাবে ।

দাম কমানোর বিষয়ে জানতে চাইলে বগুড়া শেরপুরের মজুমদার এগ্রোর ব্যবস্থাপক রায়হান বলেন, আমদানি পণ্য ৬ টাকা কমবে। প্রতি বস্তা বিক্রি করছি ১০০ টাকা। আমদানির প্রভাবে বলতে পারেন, তবে চালের দাম কমলে আমরা কমাতে পারি। আমি যতদূর জানি ভিয়েতনাম ও ভারত থেকে লাখ লাখ বস্তা চাল বাজারে আসছে, যার কারণে চালের দাম কমতে শুরু করেছে। মিল পর্যায়ে সব ধরনের চালের দাম দুই থেকে তিন টাকা কমেছে। দাম আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে।

উল্লেখ্য, খুচরা বাজারে চালের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে ২০ জুন চাল আমদানি শুল্ক ২৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড( এনবিআর) নির্দেশনা দিলেই আমদানিকারকরা ২৩ জুন ভোমরা ও হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ১০ হাজার টন চাল নিয়ে আসেন। তবে ঈদের পর গত সোমবার থেকে পুরোদমে চাল আমদানি শুরু করেন ব্যবসায়ীরা। এর ফলে রাইস মিলগুলোও তাদের দাম কমাতে শুরু করেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নতুন শুল্কের আওতায় হিলি বন্দর দিয়ে এ পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার টন চাল এসেছে। তবে ভারতের দিক দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে শত শত ট্রাক বোঝাই। এছাড়া ভিয়েতনাম থেকে আমদানি করা চাল আজ (শুক্রবার) থেকে বাজারে আসতে শুরু করেছে।

ফারুক চৌধুরী, মদিনাজপুর রাইস মিল ওনার্স গ্রুপের সাবেক সভাপতি বলেন, দাম বাড়লে মিল মালিকদের দোষারোপ করা পুরনো রীতি । চালের আমদানি শুল্ক কমানোর পরপরই মিল গেটে চালের দাম বস্তা প্রতি ১০০ থেকে দেড়শ টাকা কমেছে । তাহলে বাজারে দাম কমাতে এত সময় লাগছে কেন?

রাষ্ট্রায়ত্ত বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের( টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, যে ছোট চাল ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হতো তা এখন ৫৪ থেকে ৫৮ টাকায় নেমে এসেছে । এর মধ্যে স্বাভাবিক মানের নাজির- মিনিকেট রয়েছে । বিক্রি হচ্ছে ৫৪ থেকে ৫৬ টাকায় এবং ভালো মানের নাজির- মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৫৬ থেকে ৫৮ টাকায় । অর্থাৎ প্রতি কেজি এক থেকে দুই টাকা কমেছে ।

টিসিবির বাজারদর হালনাগাদ অনুযায়ী, যে মোটা চাল ৪৬ থেকে ৪৮ টাকায় বিক্রি হতো, তা এখন বিক্রি হচ্ছে ৪৩ থেকে ৪৬ টাকায় । এছাড়া বিভিন্ন ধরনের পায়জামের চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৭ থেকে ৫০ টাকা কেজিতে ।

চাল আমদানিকারকরা ঋণপত্র( এলসি) খুলেছেন । শুল্ক কমানোর আগে যেখানে প্রতি টন চাল দিতে হতো ৯ হাজার ১২৫ টাকা, এখন সেখানে দিতে হচ্ছে ৩ হাজার ২২৫ টাকা।

নতুন চাল বাজারে এলেও কেজিতে বেড়েছে ২- ৩ টাকা


ডিসেম্বরের শুরুতে আমন ধানের চাল বাজারে আসলেও কেজিতে দুই থেকে তিন টাকা দাম বেড়েছে। অন্যদিকে কয়েকদিনের মধ্যে গুঁড়ো চালের দাম কেজিতে ১৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

আজ শনিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে গিয়ে দেখা যায়, প্রতি কেজি ২৮টি চাল( পুরাতন) বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা এবং নতুন চালের ২৮টি চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৬ টাকায়। প্রতি কেজি ৭৪ টাকা থেকে ৭৬ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। নাজিরশাইল চাল পাওয়া যাচ্ছে ৮২ টাকা থেকে ৮৫ টাকা কেজিতে। চিনির গুড়া চাল বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা কেজি।

চলতি বছরের আগস্টের শুরুতে ২৮ চালের কেজি ছিল ৫৪ থেকে ৫৬ টাকা। সেপ্টেম্বরের শুরুতে তা ছিল ৫৭ থেকে ৫৮ টাকা । মিনিকেট ছিল ৬৮ থেকে ৭০ টাকা। সেপ্টেম্বরের শুরুতে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৭২ থেকে ৭৪ টাকা। আগস্টের শুরুতে নাজিরশাইল চালের কেজি ছিল ৭৫ থেকে ৭৮ টাকা। সেপ্টেম্বরে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৮০ থেকে ৮২ টাকা । সেপ্টেম্বরের শুরুতে প্রতি কেজি গুঁড়ো চাল পাইকারি বাজারে বিক্রি হয়েছে ১১০ টাকা এবং খুচরা বাজারে ১২৫ টাকায়।

ঢাকা চালের মালিক মো. সায়েম ডেইলি স্টারকে বলেন,' নতুন ধান তেমন ভালো না। তাই পুরনো আশির চাহিদা একটু বেশি। এ কারণে দাম বাড়তে পারে। তবে কখন এবং কেন চালের দাম বাড়ে তা বলা মুশকিল।

চালের দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে বাহার জেনারেল স্টোরের মালিক বাহার মিয়া ডেইলি স্টারকে বলেন,' এ দেশে কোনো জিনিসের দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই। আমরা জানি না কেন দাম বাড়ছে । কারো কাছে সঠিক উত্তর নেই। এভাবেই চলছে দেশ।

কারওয়ান বাজার কিচেন মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রিয় চাল এজেন্সির পাইকারি চাল বিক্রেতা মো. লোকমান হোসেন ডেইলি স্টারকে বলেন, মিল মালিকরা বলছেন, যে চাল থেকে চিনির গুঁড়া তৈরি হয় সে চালের উৎপাদন এ বছর কম হয়েছে। তাই চালের দাম কেজিতে ১৫ টাকা বেশি। অন্যদিকে পুরনো চালের দাম বাড়ার কারণ হিসেবে এর সরবরাহ কমে যাচ্ছে।

মিনিকেট চাল প্রসঙ্গে তিনি বলেন,' বৈশাখ মাসে আবার মিনিকেট চাল আসবে । প্রায় ২ থেকে ৩ সপ্তাহ আগে মিনিকেটের দাম বেড়েছে । নতুন চাল না আসা পর্যন্ত দাম কমার কোনো সম্ভাবনা নেই ।'

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সংগ্রহ ও সরবরাহ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব( অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. মজিবুর রহমান ডেইলি স্টারকে বলেন, এ বছর ধানের ফলন ভালো হয়েছে । স্বাভাবিক সময়ে যে পরিমাণ চাল মজুদ করার কথা তার চেয়ে বেশি। এ সময়ের মধ্যে যে পরিমাণ চাল আমদানি করতে হবে তাও করা হয়েছে । চালের দাম বাড়ার কোনো কারণ দেখছি না।

অস্থির চালের বাজার


আজকের চালের দাম কত | বিভিন্ন প্রকার চালের দাম | price of rice in bangladesh

কিছুদিন স্থিতিশীল থাকার পর ধীরে ধীরে অস্থির হয়ে উঠছে চালের বাজার । নির্বাচনের পরদিন থেকেই দাম বাড়তে থাকে । এক সপ্তাহের ব্যবধানে জরিমানা ও মোটা চাল কেজিতে দুই থেকে চার টাকা বেড়েছে । চালের এই দাম বাড়ার জন্য খুচরা বিক্রেতারা পাইকারদের দায়ী করছেন । আর পাইকারদের অভিযোগের আঙুল মিল মালিকদের দিকে । তারা বসে নেই! চালকল মালিকরা অস্থিতিশীলতার কারণ হিসেবে ধানের দাম বৃদ্ধিকে নির্দেশ করছেন । কিন্তু কৃষকদের অভিযোগ অব্যাহত রয়েছে । তারাও ধানের উপযুক্ত দাম না পেয়ে হতাশ । অনেক সময় ভোক্তাদের অতিরিক্ত টাকা দিতে হয় । তবে টিসিবির প্রতিবেদনে বাজারের এমন চিত্র উঠে আসছে না । তাদের দাবি, মিহি চালের দাম কেজিতে এক টাকা বাড়লেও একই হারে কমেছে মোটা চালের দাম।

গতকাল রাজধানীর মালিবাগ বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ভালো মানের নাজিরশাইল ও মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৪ টাকা কেজি দরে । ব্যবসায়ীরা জানান, এক সপ্তাহ আগে তারা এই চাল বিক্রি করেছেন ৫৬ থেকে ৬২ টাকায় । খুচরা বাজারে গতকাল ৪০ থেকে ৪৪ টাকায় বিক্রি হওয়া মোটা চাল এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছে ৩ থেকে ৪ টাকা কম । গতকাল পাইকারি বাজারে এক কেজি মোটা চালের দাম ছিল ৩৮ টাকা থেকে ৪২ টাকা । আর মিনিকেট ও নাজিরশাইল চালের পাইকারি দাম গতকাল ছিল ৫৭ টাকা থেকে ৬২ টাকা।

তবে বাজার মূল্য পর্যবেক্ষণ ও প্রয়োজনে নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকা সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের( টিসিবি) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গতকাল খুচরা বাজারে মোটা চালের দাম ছিল ৩৮ টাকা থেকে ৪২ টাকা কেজি । টিসিবির দাবি, এক সপ্তাহ আগেও এই দামে মোট চাল বিক্রি হয়েছে । কোম্পানিটির দাবি, গতকাল খুচরা বাজারে সরু চালের দাম কেজিপ্রতি ৫৫ থেকে ৬২ টাকা ছিল । এক সপ্তাহ আগে তা ছিল ৫৪ থেকে ৬২ টাকা । টিসিবির হিসাব অনুযায়ী, খুচরা বাজারে মাঝারি মানের চাল ৪৫ থেকে ৫২ টাকা কেজি, সাধারণ লতা ও পায়জাম চাল ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা এবং উন্নতমানের লতাপাজাম চাল ৫০ থেকে ৫২ টাকা কেজি দরে।

গতকাল বাজারে চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় সরকার আমদানি শুল্ক বাড়ানোর কথা বলছেন ব্যবসায়ীরা । তারা জানান, গত জুন মাসে সরকার চাল আমদানি শুল্ক ২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৮ শতাংশ করে । এতে চাল আমদানি প্রায় বন্ধ হয়ে যায় । ফলে বাজারে চালের চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে ভারসাম্য নষ্ট হয় । তা ছাড়া সরকারের ধান- চাল সংগ্রহ অভিযানের কারণে দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা । কৃষকরা ন্যায্যমূল্য পাবে বলে সরকার বর্ধিত মূল্যে ধান- চাল সংগ্রহের ঘোষণা দিয়েছে বলে দাবি তাদের । ফলে বাজারে এক ধরনের অস্থিরতা তৈরি হয়েছে । তবে ধান সংগ্রহের বাড়তি খরচ কৃষকের পরিবর্তে মধ্যস্বত্বভোগীদের পকেটে যায় বলে ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে ।

মার্কিন কৃষি সংস্থা ইউএসডিএ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, গত অর্থবছরে বিশ্বের যেসব দেশে উচ্চ হারে ধানের উৎপাদন বেড়েছে তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম । 2017 সালের মে মাসে, হাওরে আকস্মিক বন্যার কারণে ফসল প্লাবিত হওয়ার কারণে চালের দাম বেড়ে যায় । এরপর সরকার চালের আমদানি শুল্ক ২৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ করে । কিন্তু চাহিদার তুলনায় চাল আমদানি বাড়লে সরকার গত জুনে আবারও শুল্ক বাড়িয়ে ২৮ শতাংশ করে । এরপর চাল আমদানি প্রায় বন্ধ হয়ে যায় । তবে ভালো উৎপাদন হওয়ায় এখন পর্যন্ত দেশে কোনো সমস্যা হয়নি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা ।

সরকারি তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, এবার আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে । স্টকও যথেষ্ট ভালো । গত বোরো মৌসুমে ১ কোটি ৯০ লাখ টন এবং আমনে ১ কোটি ৩৫ লাখ টন চাল উৎপাদিত হয়েছিল । যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৬ শতাংশ বেশি । ধানের দাম এখন পর্যন্ত কৃষকের উৎপাদন খরচের প্রায় সমান । ছয় মাস ধরে ধারাবাহিকভাবে কমছে ধান- ধানের দাম । তবে এক সপ্তাহে পরিস্থিতি পাল্টেছে । আবারও দাম বাড়ছে।

চাল এক ধরনের কাঁচামাল। তাই যে কোন সময় দাম পরিবর্তন হতে পারে। আর এলাকা ভেদে বাজারে আমার দেওয়া চালের দাম কম- বেশি হতে পারে। আশা করি আজকের চালের দাম সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এবং বাসমতি চালের দাম এবং 50 কেজি চাল কত টাকায় বিক্রি হয় তা পরীক্ষা করে দেখুন। সর্বশেষ বাজারদর সম্পর্কে জানতে আমার সাথেই থাকুন। বাজারের হার সম্পর্কে দৈনিক আপডেট তথ্য এই ওয়েবসাইটে শেয়ার করা হয়।

Next Post Previous Post