২৯ চালের দাম | ২৮ চালের দাম | মিনিকেট চালের দাম | 29 rice price in bangladesh

চালের বস্তার দাম | ২৯ চালের দাম | ২৮ চালের দাম | মিনিকেট চালের দাম
বাজারে মোটা ও সরু চালের দাম এখন বাড়ছে। গুণগত মান ও প্রকারভেদে পণ্যটির দাম এক সপ্তাহের মধ্যে প্রতি ব্যাগ (৫০ কেজি) ১০০-১৫০ টাকা বেড়েছে। এছাড়া সুগন্ধি চালের দাম কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে।

এ প্রসঙ্গে খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, গুটিকয়েক রাইস মিল মালিক ও মজুতদারদের যথেচ্ছ মূল্য নির্ধারণের কারণে দেশে সব ধরনের চালের দাম বাড়ছে। এর জন্য উত্তরবঙ্গের রাইস মিল মালিক ও চাল কর্পোরেট কোম্পানিগুলোকে দায়ী করছেন তারা।

অন্যদিকে মিল মালিকরা বলছেন, সরকার আমন মৌসুমের চাল সংগ্রহ শুরু করায় এখন ধানের দাম কিছুটা বেশি। এ কারণে চালের দামও বেড়েছে।

চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, এক সপ্তাহ আগে এখানে জিরাশাইল সিদ্ধ চাল বিক্রি হয়েছিল ২ হাজার ১০০ টাকায়। বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৩০০ টাকা। এছাড়া মিনিকেট (সিদ্ধ) প্রতি বস্তা ২৫০ টাকা বেড়ে ১ হাজার ৭৫০ টাকা, স্বর্ণা (সিদ্ধ) ১৩০ টাকা বেড়ে ১ হাজার ৪৮০ টাকা, মোটা (সিদ্ধ) ২৫০ টাকা বেড়ে ১ হাজার ২৫০ টাকা, গুটি (সিদ্ধ) ১শ টাকা বেড়েছে। ১ হাজার ৩৫০, বাসমতি (সিদ্ধ) ২০০ টাকা বেড়ে প্রতি বস্তা বিক্রি হয়েছে ২ হাজার ৩০০ টাকা।

চালের এই অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির পেছনে কারসাজি রয়েছে বলে মনে করছেন পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ীরা। মোটা চালের দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি সুগন্ধি ও মিহি চালের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য উত্তরবঙ্গের রাইস মিল মালিক ও কর্পোরেট চাল কোম্পানিগুলোকে দায়ী করছেন তারা।

চাক্তাই চালপট্টির ব্যবসায়ীরা বলছেন, সুগন্ধি চালের দাম বাড়ায় বাজারে চালের দাম বাড়তে শুরু করেছে। সব রাইস মিল কোম্পানি গুঁড়া চিনিসহ বিভিন্ন সুগন্ধি চালের দাম বাড়ানোর পর একপর্যায়ে অন্যান্য চালের দামও বেড়েছে। এর ফলে পাইকারি পর্যায়ে সংগ্রহ ও মজুদও বেড়ে যায়। দেশের প্রধান কেন্দ্রগুলি থেকে সরবরাহ হ্রাস।

দেশের অন্যান্য স্থানেও পণ্যের দাম বাড়ার পেছনে মিল থেকে সরবরাহ কমে যাওয়াকে দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা। নওগাঁ পৌর ক্ষুদ্র চাল ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতি মকবুল হোসেন জানান, মিলগেটে প্রতি বস্তা চালের দাম বেড়েছে প্রায় একশ’ থেকে দেড়শ টাকা। চালকল মালিকরা এখন আগের চেয়ে কম সরবরাহ করছেন। ফলে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। আমরা খুচরা পর্যায়ে বেশি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি।

চালের বস্তার দাম

অন্যদিকে মিল মালিক ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, কয়েকদিন আগেও সরকারের চলমান ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান কিছুটা ধীরগতিতে ছিল। তবে সম্প্রতি এই প্রচারণা কিছুটা গতি পেয়েছে। এতে কৃষক পর্যায়ে ধানের দাম বেড়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে ধানের দাম বেড়েছে সর্বোচ্চ একশ টাকা। এর প্রভাবে দেশের প্রধান বাজার ও কলকারখানায় সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে। এখন এর প্রভাব দেশের খুচরা ও পাইকারি বাজারে দেখা যাচ্ছে।

চাক্তাই রাইস মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ওমর আজম বণিক বার্তাকে বলেন, উত্তরবঙ্গ থেকে সারা দেশে চাল সরবরাহ করা হয়। সরকার ধান-চাল সংগ্রহ শুরু করায় ধানের দাম ৮০ টাকা থেকে বেড়ে ১০০ টাকা মণ হয়েছে, যার প্রভাব পড়েছে পাইকারি পর্যায়ে চালের বাজারে। সরকারি পর্যায়ে ধান-চাল সংগ্রহের কাজ শেষ হলে বাজার সহনীয় পর্যায়ে নামতে পারে বলে মনে করেন তিনি।

খুচরা পর্যায়ে পণ্যের দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে বলে মনে করেন মিল ও মোকাম মালিকরা। এ বিষয়ে নওগাঁ চালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন চাকদার বলেন, সরকার কৃষক পর্যায়ে চাল সংগ্রহ করায় মিলাররা চাহিদা মতো চাল পাচ্ছেন না। ফলে চাহিদা মিটিয়ে বেশি দামে ধান সংগ্রহ করতে হচ্ছে। সারাদেশে হঠাৎ করেই চালের চাহিদা কিছুটা বেড়েছে। বেশি দামে ধান কিনে বিক্রির দাম কিছুটা বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু খুচরা পর্যায়ে ব্যবসায়ীরা বেশি দামে বিক্রি করছেন। ফলে ভোক্তা পর্যায়ে দাম বাড়ছে।

খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি আমন মৌসুমে সরকার ৬ লাখ টন ধান ও ৪ লাখ টন চাল কিনবে। এর মধ্যে সিদ্ধ চাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা তিন লাখ টন। আতপ চাল ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৫০ হাজার টন। এ ক্ষেত্রে প্রতি কেজি ধানের সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২৬ টাকা। এছাড়া সিদ্ধ চাল ৩৬ টাকা ও আতপ চাল ৩৫ টাকা কেজি দরে কেনা হচ্ছে। ডিসেম্বরে শুরু হওয়া এই ধান সংগ্রহ অভিযান চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। অন্যদিকে নভেম্বরের শেষে শুরু হওয়া ধান সংগ্রহ অভিযানও শেষ হচ্ছে একই দিনে (২৮ ফেব্রুয়ারি)।

এদিকে দেশের বৃহত্তম ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে সব ধরনের সুগন্ধি চালের দাম। এক সপ্তাহ আগেও প্রতি বস্তা (৫০ কেজি) পুরাতন চিনির গুঁড়া চাল পাইকারি বিক্রি হয়েছে সাড়ে চার হাজার টাকায়। এক সপ্তাহের ব্যবধানে তা বেড়ে হয়েছে পাঁচ হাজার ৫শ’ টাকা। মাত্র এক সপ্তাহে পণ্যটির দাম বেড়েছে প্রতি বস্তায় এক হাজার টাকা। অর্থাৎ পণ্যটির পাইকারি দাম কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে। অন্যদিকে ব্র্যান্ডের নতুন গুঁড়ো চালের দাম ৬০০ টাকা বেড়ে ৪ হাজার ৬৫০ টাকা হয়েছে।

মিনিকেট চালের দাম 

নতুন করে সব ধরনের মিনিকেট চালের দাম কেজিতে ১ টাকা বেড়েছে। এরই প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে। পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানান, ধানের মৌসুম শেষ হওয়ায় এবং হাওর বন্যার কারণে ধানের উৎপাদন কম হওয়ায় বাজারে ধানের ঘাটতি রয়েছে। তাই মিনিকেট চালের দাম বেড়েছে।

এদিকে সবজির দাম কমেনি। বাজারে বেশির ভাগ সবজি বিক্রি হচ্ছে বেশি দামে। তবে মাছ-মাংসে স্বস্তি আছে। পেঁয়াজের দাম কমেছে। ডাল, তেল, চিনিসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্য আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, শেওড়াপাড়া বাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

বাজারে অন্য কোনো চালের দাম বাড়েনি। তবে মিনিকেট বিক্রি হয়েছে ৬১ থেকে ৭১ টাকার মধ্যে। গত সপ্তাহে এ চালের দাম ছিল ৬০ থেকে ৭০ টাকা।

এছাড়া বিআর-২৮ প্রতি কেজি ৫১ থেকে ৫৪ টাকা, পারিজাত ৪৬-৪৮ টাকা কেজি, নাজিরশাইল ৬৫ থেকে ৭৮ টাকা এবং জিরাশাইল ৫৮ থেকে ৫৯ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কারওয়ান বাজারের খুচরা চাল ব্যবসায়ী বাচ্চু মিয়া জানান, পাইকারি বাজারে সব ধরনের মিনিকেট চালের দাম কেজিতে এক টাকা বেড়েছে। আর খুচরা বাজারেও বেড়েছে এক টাকা। খুব একটা বাড়েনি। তবে চাল বিক্রি কমেছে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, আগে যারা মিনিকেট খেতেন তাদের অনেকেই এখন অন্য চাল কিনছেন।

মিনিকেট চালের দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের পাইকারি চাল ব্যবসায়ী কবির হাসান লিটন যুগান্তরকে বলেন, মিনিকেট চাল থেকে তৈরি করা হয় চাল, যা আসলে বৈশাখ মাসে উৎপাদিত হয়।

এখন মৌসুম শেষ হওয়ায় ধানের সংকট দেখা দিয়েছে। তাছাড়া দুটি বন্যায় হাওর অঞ্চলে যে ধানের উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাও মিনিকেট তৈরির ধান। ধানের ঘাটতির কারণে দাম বেড়েছে।

শেওড়াপাড়া বাজারের ক্রেতা হোমিও চিকিৎসক ডা. মোঃ আবু তাহের বলেন, "মিনি বাজারের দাম বাড়ায় অনেক সমস্যা হচ্ছে। অন্য কোনো চাল খেতে পারি না। আবার পরিবারের লোকজনের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় প্রতি কেজিতে এক টাকা করে। আমি কষ্টে আছি।

কাঁচাবাজার পরিদর্শন করে দেখা যায়, পুরাতন আলু প্রতি কেজি ১৫ টাকা এবং নতুন ২০-৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। চিচিঙ্গা 50 টাকা, মুলা 20 টাকা, বেগুন 45-60 টাকা মান ও জাত ভেদে, টমেটো 20-30 টাকা, ব্রকলি 30 টাকা পিস, বাঁধাকপি 80-100 টাকা, করলা 60-80 টাকা, শিম 55- প্রতি পিস ৬০ টাকা, ফুলকপি ৩০-৩৫ টাকা, বাঁধাকপি ২৫-৩০ টাকা, শসা ৫০ টাকা, গাজর ৪০-৪৫ টাকা, পেঁপে ২০ টাকা, ছোট সাইজের চাল কুমড়া (জালি) ৭০ টাকা, লাউ ছোট সাইজের ৫০-৬০ টাকা, কড়ি প্রতি কেজি পাতা ৭০ টাকা এবং কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। শুক্রবার বাজারে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ২-৪ টাকা কমেছে, আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৫৮ টাকা কেজি এবং দেশি পেঁয়াজ ৫৬ টাকায়। দেশি ও আমদানি করা রসুন ৯০ টাকা কেজি এবং আদা ৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. কয়েকদিনের মধ্যে সবজির দাম কমবে বলে জানান রুবেল। শুধু জালি কুমার, লেবু ও বরব বেশি দামি হবে।

মাছের বাজারে স্বস্তি রয়েছে। ইলিশের দাম একটু বেশি হলেও অন্যান্য জনপ্রিয় মাছের দাম নাগালের মধ্যেই রয়েছে। এক কেজি ওজনের এক জোড়া ইলিশ বিক্রি হয়েছে ২৮০০ টাকায়, ৮০০ গ্রাম ওজনের এক জোড়া ইলিশ বিক্রি হয়েছে ১৪০০ টাকায়, ৭০০ গ্রাম ওজনের এক জোড়া ইলিশ বিক্রি হয়েছে ১২০০ টাকায়।

600 গ্রাম ওজনের এক জোড়া 900 টাকা এবং 500 গ্রাম ওজনের এক জোড়া ইলিশ 600 টাকা। রূপচাঁদা ১ কেজি ওজনের ৪টি বিক্রি হয়েছে ৯০০ টাকায় এবং ১ কেজি ওজনের ৫টি বিক্রি হয়েছে ৭৫০ টাকায়।

রো ও কাতলা প্রতি কেজি ২০০-২৮০ টাকা, চিংড়ি বড় আকারের ৬৫০ টাকা, মাঝারি আকারের ৬০০ টাকা এবং ছোট আকারের ৪০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

তেলাপিয়া প্রতি কেজি ১০০-১২০ টাকা, সিলভার কাপ ৮০-১০০ টাকা, পাবদা ৩০০-৪৫০ টাকা, পাঙ্গাস ৮০-৯০ টাকা, নালা ১০০ টাকা, সরপুঁটি ১০০ টাকা, গ্রাসকাপ ১২০ টাকা এবং কাই প্রতি কেজি ১শ’ টাকা দরে ​​বিক্রি হয়েছে। মাছ ব্যবসায়ী মনির বলেন, 'ভাই, মানুষ এখন মাছ খায় না। তাই দামও কম।

শুক্রবার ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ১৩০ টাকা কেজি। লাল লেয়ার ১৬০ টাকা এবং সাদা লেয়ার ১৪০ টাকা। ছাগলের মাংস প্রতি কেজি ৮০০ টাকা এবং ছাগলের মাংস ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। গরুর মাংস বিক্রি হয় প্রতি কেজি ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকায়। ফার্মের মুরগির ডিম প্রতি ডজন 75 টাকা, দেশি মুরগির ডিম প্রতি ডজন 150 টাকা, হাঁসের ডিম প্রতি ডজন 135 টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

২৯ চালের দাম 


দাম বাড়ায় পাবনার বাজারে ব্রি ২৯ চালের সংকট দেখা দিয়েছে। এর পরিবর্তে ২৮ জাতের চাল বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। ফলে এক মাসে প্রতি কেজি চালে প্রায় ১০ টাকা বেশি খরচ করতে হচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষদের।

দেখা গেছে, এক মাস আগে খুচরা বাজারে ২৯ জাতের চাল বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকা কেজি দরে। বর্তমানে ২৯ জাতের ধান পাওয়া যাচ্ছে না। এর বদলে ২৮ জাতের চাল কিনতে হচ্ছে ৫৮ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে।

বর্তমানে পাবনার বড় বাজারে ২৮ জাতের চাল প্রতি কেজি ৫৮ টাকা এবং খুচরা বাজারে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক মাস আগে ছিল ৫০ ও ৫২ টাকা।

ব্যবসায়ীদের দাবি, চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় রাইস মিল মালিকরা এখন ২৯ জাতের চালের সরবরাহ কমিয়ে ২৮ জাতের চাল বাজারজাত শুরু করেছেন।

পাবনা সদর উপজেলার মালঞ্চি গ্রামের অটোরিকশা চালক বাদশা মিয়া ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বাড়িতে চাল নেই, বাড়ির পাশের দোকানে চাল কিনতে গিয়ে ৫০ টাকার নিচে কোনো চাল পাইনি। প্রতি কেজি 60 টাকা। কিন্তু সেখানেও চালের দাম বেশি।'

বাদশা বলেন, 'এক মাস আগে এক বস্তা (২৯ জাতের) চাল কিনেছিলাম ২ হাজার ২০০ টাকায়। এখন বাজারে কোথাও সেই চাল পাই না। সব দোকানেই ২৮ জাতের চাল বিক্রি হচ্ছে ২৮০০ থেকে ২ হাজার ৮৫০ টাকায়। বেঁচে থাকার জন্য চড়া মূল্য দিয়ে হলেও চাল কিনতে হবে।'

পাবনার বড় বাজারের চাল ব্যবসায়ী মো. আলামিন হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'চালের দাম বাড়তে শুরু করায় ২৯ জাতের চাল বাজারে সরবরাহ প্রায় বন্ধ করে দিয়েছে রাইস মিল মালিকরা। বাজারে এখন ২৮ জাতের চাল ও মিনিকেট চালের সরবরাহ বেশি।'

তিনি আরও বলেন, গত কয়েক সপ্তাহে প্রতি বস্তা চালের দাম বেড়েছে ৩০০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা।

আল-আমিন বলেন, 'গত মাসে ২৮ জাতের ধান বিক্রি হয়েছে আড়াই হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকা দরে। এখন তা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার ৮৫০ টাকা দরে। একইভাবে মিনিকেট চাল এখন বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ১০০ থেকে ৩ হাজার টাকায়। যা গত মাসে ছিল ২ হাজার ৮০০ টাকা।

শুধু ২৮ বা মিনিকেট চাল নয়, নাজিরশাইল, বাসমতিসহ সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে।

এদিকে চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিক্রি ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ কমেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীরা জানান, গত কয়েকদিনে চাল বিক্রি কমেছে।

পাবনা বড় বাজারের রাতিন চক্রবর্তী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, আমরা সাধারণত প্রতি সপ্তাহে 250 থেকে 300 বস্তা চাল বিক্রি করি কিন্তু গত এক সপ্তাহে আমরা 100 থেকে 120 বস্তার বেশি চাল বিক্রি করিনি।

দাম বাড়ার কারণে অনেকেই এখন প্রয়োজন না হলে আগাম চাল কেনেন না। এ অবস্থা চলতে থাকলে ব্যবসায়ীরা লোকসানের মুখে পড়বেন। চালের দাম স্বাভাবিক থাকলে ক্রেতা-ব্যবসায়ী সবাই বেঁচে যাবে। তবে রাইস মিল মালিকরা দাম না কমালে কিছু করার নেই বলে জানান তিনি।

এদিকে চালের দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে পাবনার এআর স্পেশালাইজড রাইস মিলের মহাব্যবস্থাপক আখতার হোসেন রাসেল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'চালের দাম বাড়ার কারণে চালের দাম বেড়েছে। উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারণে চালের দাম বেড়েছে। সংকট নিরসনে আমদানি শুল্ক বন্ধ রেখে চাল আমদানি করা গেলে চালের দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে।

রাসেল বলেন, 'যে ধানের দাম ছিল ১১০০ টাকা, কয়েক সপ্তাহের মধ্যে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩৫০ টাকা। আর ১৫০০ টাকা দামের চালের দাম উঠেছে ১৭০০ টাকা।'

তিনি আরও বলেন, 'চালের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়া এবং উৎপাদন কম হওয়ায় বাজারে চালের দাম বেড়েছে। এ ছাড়া জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় ধানের উৎপাদন খরচ বেড়েছে। ফলে বাজারে চালের দাম বেড়েছে।

বাজারে ২৯টি চালের ঘাটতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় ২৯টি চাল বাজারজাত করে লাভ নেই। এ কারণে ২৯ জাতের ধানের বাজারে উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছে চাল মিলগুলো।

নাজিরশাইল চালের দাম 


  • ভালো মানের নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে ৭৩ থেকে ৮২ টাকায়। যা দুই দিন আগে বিক্রি হয়েছে ৭৫ থেকে ৮৫ টাকায়।
  • নাজিরশাইল সরু চাল প্রতি বস্তা বিক্রি হচ্ছে ৩৫০০ থেকে ৩৬০০ টাকায়।
  • পালকি নাজিরশাইলের ২৫ কেজি চালের বস্তার দাম মাত্র ১৯৪০ টাকা।
  • পালকি প্রিমিয়াম 25 কেজি চালের বস্তার দাম মাত্র 2150 টাকা।
  • নাজিরশাইলের ৫০ কেজির এক বস্তা চাল বিক্রি হচ্ছে ৩১০০-৩১৫০ টাকার পরিবর্তে ৩৩০০-৩৩৫০ টাকায়।

২৫ কেজি চালের বস্তার দাম


এখন আমি আপনাদের সাথে 25 কেজি বস্তা চালের দাম শেয়ার করব। আপনারা যারা মিনিকেট 25 কেজি চালের দাম জানতে চান, নীচে পড়ুন এবং এরফান মিনিকেট 25 কেজি চালের বস্তার দাম এবং মিনিকেট চাল জহুরা মিল 25 কেজি চালের বস্তার দাম জানুন।

এরফান মিনিকেট ২৫ কেজি চালের বস্তার মূল্য - 


এরফান মিনিকেট 25 কেজি চালের বস্তার দাম মাত্র 1650 টাকা।

আপনারা যারা এরফান মিনিকেট 25 কেজি চালের বস্তা কিনতে চান তারা এরফান মিনিকেট 25 কেজি চালের বস্তা 1650 টাকায় কিনতে পারেন।

মিনিকেট চাল জহুরা মিল ২৫ কেজি - 


  • মিনিকেট রাইস জহুরা মিলের ২৫ কেজি চালের বস্তার দাম মাত্র ১৬৪০ টাকা।
  • মিনিকেট রাইস জোহরা মিল থেকে ২৫ কেজি চালের ব্যাগ কিনতে চাইলে ১৬৪০ টাকা দিতে পারেন।
  • মিনিকেট চালের ৫০ কেজির বস্তা বিক্রি হচ্ছে ২৭৫০-২৮০০ টাকার পরিবর্তে ২৮৫০-২৯০০ টাকায়।

২৮ চালের দাম 

  • মোটা চাল ব্রি-২৮ প্রতি বস্তা বিক্রি হচ্ছে ২৬০০ থেকে ২৬৫০ টাকায়।
  • ব্রি-২৮ চালের ৫০ কেজির বস্তা ১০০ টাকা বেড়ে ২৩০০ থেকে ২৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
  • ব্রি-২৮ কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়।
  • ব্রি-২৮ চাল প্রতি ৫০ কেজি বস্তা ২৫৫০-২৬০০ টাকার পরিবর্তে ২৬৫০-২৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

২৯ চালের দাম 


  • ২৯ জাতের চাল বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকা কেজি দরে।
  • ২৯টি জাতীয় চাল বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬২ টাকায়।
  • বিআর ২৯ চাল ৫০ কেজি প্রতি বস্তা ২৩২০-২৩৫০ টাকার পরিবর্তে ২৪০০-২৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কাটারিভোগ চালের দাম 


কাচ্চির জন্য পারফেক্ট কাটারি ভোগ চাল। পাকিস্তানের বিখ্যাত দানা ব্র্যান্ড সুপার কর্নেল বাসমতি লং গ্রেইন রাইস 1 কেজি কাটারিভোগ চাল মাত্র 250 টাকায় এবং 5 কেজি কাটারিভোগ চাল পাওয়া যাচ্ছে মাত্র 1200 টাকায়। আপনার সুবিধার জন্য নীচে কাটারিভোগ বাসমতি চালের কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে।

1. এক বছর বয়সী ভাত বিরিয়ানি বা পোলাওকে ঝরঝরে করে তুলবে।
2. ন্যূনতম 0.26 ইঞ্চি লম্বা চাল দীর্ঘতম বিরিয়ানি চাল নিশ্চিত করে৷
3. মহান গন্ধ সমৃদ্ধ.

পাইজাম চালের দাম 


  • পায়জামা বিক্রি হচ্ছে 2250 টাকা, বেড়েছে 100 টাকা।
  • পাইজাম বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫০ টাকায়।
  • পেজাম চাল ৫০ কেজি প্রতি বস্তা ২১০০ থেকে ২১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ২২৫০-২৩০০ টাকায়।

৫০ কেজি চালের বস্তার দাম 


৫০ কেজির ব্যাগ, এক সপ্তাহ আগে সূক্ষ্ম সোনালি চালের দাম ছিল ১৮০০-১৮৫০ টাকার পরিবর্তে ২০০০ থেকে ২০৫০ টাকা।

  • পেজাম চাল ৫০ কেজি প্রতি বস্তা ২১০০ থেকে ২১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ২২৫০-২৩০০ টাকায়।
  • ব্রি-২৮ চাল প্রতি ৫০ কেজি বস্তা ২৫৫০-২৬০০ টাকার পরিবর্তে ২৬৫০-২৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
  • বিআর ২৯ চাল ৫০ কেজি প্রতি বস্তা ২৩২০-২৩৫০ টাকার পরিবর্তে ২৪০০-২৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
  • মিনিকেট চালের ৫০ কেজির বস্তা বিক্রি হচ্ছে ২৭৫০-২৮০০ টাকার পরিবর্তে ২৮৫০-২৯০০ টাকায়।
  • নাজিরশাইলের ৫০ কেজির এক বস্তা চাল বিক্রি হচ্ছে ৩১০০-৩১৫০ টাকার পরিবর্তে ৩৩০০-৩৩৫০ টাকায়।

আমি আশা করি যে আপনি পোস্ট পড়ে অনেক খুশি হয়েছে। আর আমরা আশা করি যে, আপনি যে বিষয় পড়তে চেয়েছেন সেই বিষয়টা অবশ্যই পেয়েছে। এরকম সকল তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে সবসময় প্রবেশ করবেন। আমাদের সাইডে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

blog post blog post blog post blog post blog post চালের বস্তার দাম | ২৯ চালের দাম | ২৮ চালের দাম | মিনিকেট চালের দাম | 29 rice price in bangladesh
Next Post Previous Post